মাইনুল আহসান নোবেল। কিছু দিন আগে এই নামটি তার পরিবার আর বন্ধু-বান্ধব ছাড়া কেউ জানতো না। অথচ আজ এই নোবেলের পরিচিতি দেশজুড়ে। ভারতের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘সা রে গা মা পা’তে জেমসের ‘বাবা’ গানটি গেয়েই তার এই পরিচিতির শুরু, আর এখন একের পর এক চমক দেখিয়েই চলেছেন নোবেল। তবে নোবেলর জীবনী সম্পর্কে আমরা কজনই বা জানি এই ভিডিওতে আমরা নোবেলের সম্পূর্ণ জীবনী তুলে ধরব। আসুন তাহলে আর দেরী না করে দেখে নেওয়া যাক।
নোবেল এর পূর্ণ নাম মইনুল আহসান নোবেল। নোবেল ৭ নভেম্বর ১৯৯২ সালে গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় পড়ালেখা করেছেন বিভিন্ন জেলাতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আর সেই কারণে প্রতিবছর স্কুল পরির্তন করতে হয়েছে তাকে। এমনকি একই ক্লাসে একাধিকবারও পড়েছেন।
অবশেষে অসহ্য হয়ে নোবেল পাড়ি জমান ভারতে এবং সেখানে ক্লাস নাইনে ভর্তি হন। আর ভারত সংস্কৃতিপূর্ণ দেশ হওয়ার কারনে নোবেলও প্রবেশ করেন গানের জগতে। তখন থেকেই গানের প্রতি অফুরন্ত প্রেম জমে ওঠে তার এবং কোন প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই চালিয়ে যেতে থাকে তার সঙ্গীত চর্চা।
নোবেল অনেক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেন তিনি সংগীত জগতে বিচরণ করবেন আর গদবাধা লেখাপড়ার জীবনকে বিদায় জানাবেন। তাই তিনি বাসায় ফিরে তার এই কঠোর সিদ্ধান্তের কথা পরিবারকে জানিয়ে দেন। নোবেল জানান সে কোন চাকরি করবেনা, শুধু গান নিয়েই থাকতে চান, একজন নামিদামী সঙ্গীত শিল্পী হতে চান। পরিবার থেকে প্রথমিক অস্বৃকৃতি থাকলেও নোবেল হাল ছাড়েননি এবং তার গুরু জেমস্ কে মেনে নিয়ে একের পর এক গান গেয়ে মাতাতে থাকেন দর্শকদের।
অবশেষে বাংলালিংক কর্র্তক আয়োজিত বাংলাদেশের ইউটিউবারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত নেক্সটিউবার এর গান গেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন, তবে রুচিহিন জাযমেন্ট এর কারনে নানা বিষয়ে অযোগ্য দেখিয়ে সেখান থেকে বাদ দেয়া হয় নোবেলকে। আসলে উক্ত প্রোগামের বিচারকরা নোবেলকে সঠিক মূল্যায়ন করতে তখন ব্যর্থ হয় তবে নোবেলের যোগ্যতা ভারতের মিডিয়া জগত তুলে ধরেছে বিশ্ববাসীর সামনে। ভারতের অন্যতম রিয়েলিটিশো সারেগামাপাতে নোবেল তার সঙ্গীত উপাস্থাপন করে মানুষকে মুগ্ধ করেছে আর এখন তো আপনাদের আর বলার কিছুই নেই, কারণ এখন নোবেল কে অগণিত মানুষ চেনে, আর অগনিত মানুষের হৃদয়ে ভালবাসার স্থান করে নিয়েছে তার যোগ্যতার কারনে।
সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ, নোবেলের সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পর্কে আপনার কিছু জানা থাকলে কমেন্টএ জানিয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করতে পারে এবং বিষটি শেয়ার করে সকলকে নোবেল সম্পর্কে জানার ও দেখার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।